নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল থেকে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ভ্যাকসিন দিতে সকাল আটটার আগেই লোকজন ভীড় করছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভ্যাকসিন কাউন্টারে। কেউ একা আবার কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন কাঙ্খিত ভ্যাকসিনটি নিতে। ভ্যাকসিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার ও নার্সদের হিমসিম খেতে হচ্ছে আসা লোকজনকে ভ্যাকসিন দিতে। তারপর দীর্ঘ দুই ঘন্টা অপেক্ষার পর মিলিছে কাঙ্খিত করোনা ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন নিতে আসা যুবক মাজহারুল ইসলাম জানান, মোবাইলে ম্যাসেস পাওয়ার পর সকাল বেলা এসেছি ভ্যাকসিন নিতে। এসে দেখি দীর্ঘ লাইন। মানুষ সকাল থেকেই লাইনে দাড়িয়ে আছে। লাইনে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যাথা হয়ে গেছে। গরমে অনেকে অসুস্থ অনুভব করছে। তারপর নিয়ম মাফিক দাড়িয়ে থাকার ২ ঘন্টা পর ভ্যাকসিনটি নিতে পেরেছি। ব্যাকসিন নেওয়ার পর তার অনুভুতি জিঞ্জেস করলে ভ্যাকসিন নেয়ার পর তার কোন সমস্যা অনুভব করছেন না।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা জানান, ভ্যাকসিন নেয়ার বিষয়টি আসলে পজেটিভ। বর্তমানে মানুষ ইচ্ছে করেই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রাহ প্রকাশ করছে যেটা নিজ ও দেশের জন্য নিরাপদ। আমরা চাই দেশের প্রতিটি মানুষ করোনার ভ্যাকসিন গ্রহন করুক। দীর্ঘ লাইনের ব্যাপারে তিনি জানান, মানুষ এখন উৎসাহ নিয়ে ভ্যাকসিন দিতে আসছে। সোনারগাঁ ছাড়াও অনেক বাহিরের লোকজনও এখানে স্থান দেখিয়ে ভ্যাকসিনের রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। সেজন্য দীর্ঘক্ষন লাইনে দাড়াতে হচ্ছে। শুধু এখানে নয় সারা দেশে একই অবস্থা। আমরা আমাদের সাধ্য মতো মহিলা পুরুষ ভাগ করে দুটি কাউন্টারে টিকা দিচ্ছি। টিকা দিতে সময় লাগেনা তবে, রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম চেক করতে একটু সময় লাগে। সেজন্য তিনি আগের চেয়ে বেশী জনবল ও সকাল ৯টা পরিবর্তে সকাল ৮টা থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার সিষ্টেম চালু করেছেন। যাতে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের কষ্ট কিছুটা লাগব হয়।